মঙ্গলগ্রহে আলু চাষের পরীক্ষা
মঙ্গলগ্রহে নিয়ন্ত্রিত একটি ঘর তৈরি করে, সেখানে যাতে প্রয়োজনীয় চাষাবাদ করা যায়, এ লক্ষ্যে এই গবেষণা চালাচ্ছেন গবেষকেরা। এ পরীক্ষার জন্য পেরুর প্যামপাস ডে লা জয়া মরুভূমির মাটি ব্যবহার করছেন তাঁরা। এখানকার মাটি প্রায় মঙ্গলের মতো। এ ছাড়া পরীক্ষাগারে প্রায় মঙ্গলগ্রহের মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে আলুর চাষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন গবেষকেরা। এভাবে আলু চাষের ক্ষেত্রে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের আধিক্য উদ্ভিদের জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। মঙ্গলের পরিবেশে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্বন-ডাইঅক্সাইড রয়েছে।
নাসার প্লানেটারি সায়েন্টিস্ট ক্রিস ম্যাককে বলেন, পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে চাষাবাদের জন্য এই প্রকল্পের গবেষকদলটি অসাধারণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। মহাকাশে মানুষের যে সভ্যতা গড়ে উঠবে, সেখানে খাবার উৎপাদনের বিষয়টি শিগগিরই বাস্তবতার মুখ দেখবে। শুধু প্রতিকূল পরিবেশে বেড়ে ওঠাই নয়, পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার হিসেবেও আলু পরিচিত। ভিটামিন সি, আয়রন, জিংক ও দরকারি পুষ্টিগুণ আছে আলুতে।
সিআইপির যোগাযোগপ্রধান জোয়েল র্যাংক বলেন, ২০০ কোটি বছর আগের প্রাণহীন কোনো গ্রহতে চাষাবাদ করে পরিবেশ পরিবর্তন সম্পর্কে জানার চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে? মানুষের জানা দরকার যে, আমরা যদি মঙ্গলগ্রহের মতো প্রতিকূল কোনো পরিবেশে আলুর চাষ করতে পারি, তবে পৃথিবীতে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে পারব। বর্তমানে পৃথিবীতে ৮৪ কোটি ২০ লাখ মানুষের ওপর দুর্ভিক্ষের প্রভাব পড়তে দেখা যায়। পৃথিবীতে উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার ফলে মাটির অবস্থা খারাপ হচ্ছে। এ ছাড়া কীট-পতঙ্গ ও রোগের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বজুড়ে উৎপাদন কমছে। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।
0 comments:
Post a Comment