ইচ্ছে থাকলে আপনি সহজেই ফিল্মের জন্য গল্প
পেয়ে যাবেন।এখন আপনাদের বলবো কিভাবে সহজ উপায়ে গল্প পেয়ে যাবেন আপনার
শর্ট ফিল্ম বা নাটকের জন্য। চোখ মুছে নিন, এরপরের জার্নিটুকু উপভোগ করুন।
আমি যখন কারো সাথে পরিচয় হই, তার কিছুদিন পরই তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করি। যেমনঃ What’s your goal in your life? What are you good at? Why are you here? What do you want to be? এরকম আবোল তাবোল অনেক প্রশ্ন করি। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তারা আমাকে এমন লুক দিয়ে থাকে যে নিজেই অসস্থিতে পড়ে যাই। এ কারনে অনেকে আমাকে weird ও ভেবে থাকে। Again, So What? Who cares what they think of me?
ফিল্ম থেকে ফিল্ম হয়। প্রচুর ফিল্ম দেখলে আপনি নিজের শর্ট ফিল্মের জন্য আইডিয়া পেয়ে যাবেন। আপনার পুরো গল্প পাওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধু আইডিয়া পেলেই হবে। এরপর সেই আইডিয়া নিয়ে চিন্তা করুন যেটার ইংলিশ নাম – brain storming. আপনি কিছুদিন শুধু এই আইডীয়া নিয়েই ভাবুন, আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি কোন ফিল্মমেকারের সাথে শেয়ার করতে পারেন (যদি সে সুযোগ থাকে)… এক সময় দেখবেন আইডিয়া ডালাপালা গজাতে শুরু করেছে। এবং এরপরই আপনি দিতে পারবেন আপনার গল্পের পূর্নাংগ রুপ। ধরুন, টুয়েল্ভ অ্যাংগ্রী ম্যান সিনেমাটা দেখে আপনার মাথায় এলো – একটা লোক প্রাইভেট টিউশনি করে। সে একদিন তার স্টুডেন্ট এর বাসায় এসে ভিন্ন রকম পরিস্থিতিতে পড়ে। তার জীবন সংশয় হতে পারে এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়ে সে কি করবে? সে কী পালাবে? নাকী ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বে।
শুধু মাত্র ইনডোর বেইজ একটা ডার্ক কমেডি হতে পারে এই থীম নিয়ে। চিন্তা করুন।
শর্ট ফিল্ম দেখলেও আপনার অভিজ্ঞতা হবে। আপনি অনেক আইডিয়া পাবেন। এমনও হতে পারে যে একটি শর্ট ফিল্মের কাহিনী লন্ডন বেইজড, সেটাকে আপনি নিজের মতো করে সাজিয়ে ঢাকা-বেইজড গল্প দাড় করালেন। আপনাকে ক্রেডিট ও দিতে হবেনা। কারন, আপনি সরাসরি কপি করছেন না। আপনি জাস্ট তার আইডিয়া নিচ্ছেন। মুল থীম একই হতে পারে। কিন্তু আপনার গল্প হবে ভিন্ন। খেয়াল করুন – শুধুমাত্র মুল থীম এর কথা বলছি। আপনি অবশ্যই সরাসরি কারো গল্প মেরে দিবেন না। যদি কোন ফিল্ম বা শর্ট ফিল্মের গল্প নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে থাকে, তাহলে দয়া করে আপনার ফিল্মে সেই ফিল্মের নাম উল্লেখ করবেন। এই জগতে চোরের সংখ্যা বেশী হলেও চোরের স্থায়িত্ব বেশীদিন হয়না।
সব গল্প আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। সব গল্প ফিল্মের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। কিন্তু হঠাত এমন একটি গল্প পেয়ে যাবেন যেটা আপনার মনে দাগ কাটবে। হয়তো গল্পটাকে আপনার নিজের মতো সাজাতে হবে। প্রয়োজনে ছোট বড় করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার প্রচুর পড়ার অভ্যেস কাজে লাগবে। আপনি অন্য গল্পের অংশবিশেষ জোরা লাগাতে পারবেন এই গল্পে
আগে যখন নিয়মিত পত্রিকা পড়তাম তখন আমি গল্প বিভাগটা মন দিয়ে পড়তাম। এর কারন হচ্ছে আমার গল্প পড়তে ভালই লাগে। আর অনেক গল্প মানুষের অভিজ্ঞতার ফসল, তাদের অভিজ্ঞতা জানতে ভালো লাগে। আপনিও গল্পগুলো পড়ে দেখতে পারেন। ছোট ছোট এই গল্পগুলো আপনার অভিজ্ঞতা বাড়াবে। যদি কোন গল্প নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে পত্রিকা অফিসে যোগাযোগ করে লেখক/লেখিকার সাথে যোগাযোগ করুন। তাকে অনুরোধ করুন। দেখবেন অনেকেই রাজী হবেন।
ফেসবুকে অনেকেই ছোট ছোট গল্প বা গল্পাংশ লিখে থাকে। অনেককেই দেখবেন ফেসবুককে নিজের খেরোখাতা বানিয়ে লিখছে প্রচুর। তাদের লেখাগুলো পড়ুন। অনেক গল্পে আপনার চোখ আটকে যাবে। আপনার মনে হবে এই গল্প নিয়ে আপনি কাজ করতে পারেন। হয়তো আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে তেমন ফ্রেন্ড নেই। হয়তো অনেক সেলিব্রিটি আপনার ফ্রেন্ড রিকয়েস্ট অ্যাক্সেপ্ট করবেন না। এক্ষেত্রে তাদের আপনি ফলো করুন। তাদের গল্পগুলো আপনার হোম পেইজে আসলে পড়ুন। কারো গল্প ভালো লাগলে তাদেরকে মেসেজ পাঠান ভদ্র ভাষায়। বিনয়ের সাথে অনুরোধ করুন কি উদ্দেশ্য আপনি তার গল্প নিতে চাচ্ছেন। বলুন যে তাকে লেখকের পুর্ন ক্রেডিট দেয়া হবে। ৯০% সম্ভাবনা তারা রাজী হবেন।
ব্লগে প্রচুর লেখক রয়েছেন। প্রচুর মানে প্রচুর পরিমানে। তারা যে পরিমান লিখেন, মেইনস্ট্রীমেও এতো লেখালেখি হয়না বলে আমার বিশ্বাস। তাদের লেখাগুলো পড়ুন, তাদের ছোট গল্পগুলো পড়ুন। হয় আপনি নিজের কোন আইডিয়া নিয়ে হাজির হবেন; অথবা তাদের কোন গল্প নিয়েও আপনি সরাসরি কাজ করতে পারবেন। একই ভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং ভদ্র ভাষায় বুঝিয়ে বলুন কেনো গল্প চাচ্ছেন। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তারাও রাজী হবেন।
রেডিও তে এখন অনেকেই গল্প বলে। অনেকের ঘটনা জানা যায়। রেডিও শুনলেও আপনি পেয়ে যাবেন অনেক গল্প। হয়তো শোনা শেষে আপনি এটুজেড মনে থাকবেনা, কিন্তু আইডিয়া বা থিম টা পাবেন। থিম এর উপর কাজ করুন। মনে রাখবেন, রেডিও এর সাথে যোগাযোগ করে যদি ক্রেডিট দিতে অক্ষম হোন তাহলে অন্তত ক্রেডিটে লিখুন যে অমুক রেডিও থেকে সংগ্রহিত গল্প।
এখন কি করবেন? কি আর, স্ক্রিপ্ট লখবেন। হয়, আপনি কোন স্ক্রিপ্টরাইটার কে বলতে পারেন সেই গল্পের উপর ভিত্তি করে স্ক্রিপ্ট লিখে দিতে, অথবা আপনি নিজেই লিখতে পারেন আপনার স্ক্রিপ্ট আথবা আমাদেরকেও সাথে নিতে পারেন আপনার স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে।
মানুষের সাথে মিশুন ->
অন্যদের সাথে মিশুন। তাদের সাথে কথা বলুন। তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা যদি কোনভাবে আপনার সাথে শেয়ার করে, তাহলেই কিন্তু আপনি পেয়ে যেতে পারেন আপনার ফিল্মের জন্য মাল-মশলা। খেয়াল করে দেখুন, আপনার জীবনে অভিজ্ঞতার অভাব পুরন করতে পারে অন্যের অভিজ্ঞতা। আপনাকে শুধু সেগুলো জানতে হবে। এ জন্য আপনাকে কিছু প্রশ্ন করতে হবে যেগুলো হয়তো সাধারনত মানুষ একেবারে খুব ভালোভাবে পরিচিত ছাড়া করেনা। আপনি করলে হয়তো আপনাকে মানুষ পাগল ঠাওরাবে। কিন্তু এসব নিয়ে ভাববেন না।আমি যখন কারো সাথে পরিচয় হই, তার কিছুদিন পরই তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করি। যেমনঃ What’s your goal in your life? What are you good at? Why are you here? What do you want to be? এরকম আবোল তাবোল অনেক প্রশ্ন করি। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তারা আমাকে এমন লুক দিয়ে থাকে যে নিজেই অসস্থিতে পড়ে যাই। এ কারনে অনেকে আমাকে weird ও ভেবে থাকে। Again, So What? Who cares what they think of me?
১- প্রচুর ফিল্ম দেখুন ->
ফিল্ম থেকে ফিল্ম হয়। প্রচুর ফিল্ম দেখলে আপনি নিজের শর্ট ফিল্মের জন্য আইডিয়া পেয়ে যাবেন। আপনার পুরো গল্প পাওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধু আইডিয়া পেলেই হবে। এরপর সেই আইডিয়া নিয়ে চিন্তা করুন যেটার ইংলিশ নাম – brain storming. আপনি কিছুদিন শুধু এই আইডীয়া নিয়েই ভাবুন, আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি কোন ফিল্মমেকারের সাথে শেয়ার করতে পারেন (যদি সে সুযোগ থাকে)… এক সময় দেখবেন আইডিয়া ডালাপালা গজাতে শুরু করেছে। এবং এরপরই আপনি দিতে পারবেন আপনার গল্পের পূর্নাংগ রুপ। ধরুন, টুয়েল্ভ অ্যাংগ্রী ম্যান সিনেমাটা দেখে আপনার মাথায় এলো – একটা লোক প্রাইভেট টিউশনি করে। সে একদিন তার স্টুডেন্ট এর বাসায় এসে ভিন্ন রকম পরিস্থিতিতে পড়ে। তার জীবন সংশয় হতে পারে এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়ে সে কি করবে? সে কী পালাবে? নাকী ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বে।
শুধু মাত্র ইনডোর বেইজ একটা ডার্ক কমেডি হতে পারে এই থীম নিয়ে। চিন্তা করুন।
২- প্রচুর শর্ট ফিল্ম দেখুন ->
শর্ট ফিল্ম দেখলেও আপনার অভিজ্ঞতা হবে। আপনি অনেক আইডিয়া পাবেন। এমনও হতে পারে যে একটি শর্ট ফিল্মের কাহিনী লন্ডন বেইজড, সেটাকে আপনি নিজের মতো করে সাজিয়ে ঢাকা-বেইজড গল্প দাড় করালেন। আপনাকে ক্রেডিট ও দিতে হবেনা। কারন, আপনি সরাসরি কপি করছেন না। আপনি জাস্ট তার আইডিয়া নিচ্ছেন। মুল থীম একই হতে পারে। কিন্তু আপনার গল্প হবে ভিন্ন। খেয়াল করুন – শুধুমাত্র মুল থীম এর কথা বলছি। আপনি অবশ্যই সরাসরি কারো গল্প মেরে দিবেন না। যদি কোন ফিল্ম বা শর্ট ফিল্মের গল্প নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে থাকে, তাহলে দয়া করে আপনার ফিল্মে সেই ফিল্মের নাম উল্লেখ করবেন। এই জগতে চোরের সংখ্যা বেশী হলেও চোরের স্থায়িত্ব বেশীদিন হয়না।
৩- প্রচুর গল্প পড়ুন। ->
সব গল্প আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। সব গল্প ফিল্মের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। কিন্তু হঠাত এমন একটি গল্প পেয়ে যাবেন যেটা আপনার মনে দাগ কাটবে। হয়তো গল্পটাকে আপনার নিজের মতো সাজাতে হবে। প্রয়োজনে ছোট বড় করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার প্রচুর পড়ার অভ্যেস কাজে লাগবে। আপনি অন্য গল্পের অংশবিশেষ জোরা লাগাতে পারবেন এই গল্পে
৪- পত্রিকার গল্প বিভাগে চোখ রাখুন ->
আগে যখন নিয়মিত পত্রিকা পড়তাম তখন আমি গল্প বিভাগটা মন দিয়ে পড়তাম। এর কারন হচ্ছে আমার গল্প পড়তে ভালই লাগে। আর অনেক গল্প মানুষের অভিজ্ঞতার ফসল, তাদের অভিজ্ঞতা জানতে ভালো লাগে। আপনিও গল্পগুলো পড়ে দেখতে পারেন। ছোট ছোট এই গল্পগুলো আপনার অভিজ্ঞতা বাড়াবে। যদি কোন গল্প নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে পত্রিকা অফিসে যোগাযোগ করে লেখক/লেখিকার সাথে যোগাযোগ করুন। তাকে অনুরোধ করুন। দেখবেন অনেকেই রাজী হবেন।
৫- ফেসবুকে চোখ রাখুন ->
ফেসবুকে অনেকেই ছোট ছোট গল্প বা গল্পাংশ লিখে থাকে। অনেককেই দেখবেন ফেসবুককে নিজের খেরোখাতা বানিয়ে লিখছে প্রচুর। তাদের লেখাগুলো পড়ুন। অনেক গল্পে আপনার চোখ আটকে যাবে। আপনার মনে হবে এই গল্প নিয়ে আপনি কাজ করতে পারেন। হয়তো আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে তেমন ফ্রেন্ড নেই। হয়তো অনেক সেলিব্রিটি আপনার ফ্রেন্ড রিকয়েস্ট অ্যাক্সেপ্ট করবেন না। এক্ষেত্রে তাদের আপনি ফলো করুন। তাদের গল্পগুলো আপনার হোম পেইজে আসলে পড়ুন। কারো গল্প ভালো লাগলে তাদেরকে মেসেজ পাঠান ভদ্র ভাষায়। বিনয়ের সাথে অনুরোধ করুন কি উদ্দেশ্য আপনি তার গল্প নিতে চাচ্ছেন। বলুন যে তাকে লেখকের পুর্ন ক্রেডিট দেয়া হবে। ৯০% সম্ভাবনা তারা রাজী হবেন।
৬- ব্লগগুলো ঘুরুন ->
ব্লগে প্রচুর লেখক রয়েছেন। প্রচুর মানে প্রচুর পরিমানে। তারা যে পরিমান লিখেন, মেইনস্ট্রীমেও এতো লেখালেখি হয়না বলে আমার বিশ্বাস। তাদের লেখাগুলো পড়ুন, তাদের ছোট গল্পগুলো পড়ুন। হয় আপনি নিজের কোন আইডিয়া নিয়ে হাজির হবেন; অথবা তাদের কোন গল্প নিয়েও আপনি সরাসরি কাজ করতে পারবেন। একই ভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং ভদ্র ভাষায় বুঝিয়ে বলুন কেনো গল্প চাচ্ছেন। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তারাও রাজী হবেন।
৭- রেডিও শুনুন ->
রেডিও তে এখন অনেকেই গল্প বলে। অনেকের ঘটনা জানা যায়। রেডিও শুনলেও আপনি পেয়ে যাবেন অনেক গল্প। হয়তো শোনা শেষে আপনি এটুজেড মনে থাকবেনা, কিন্তু আইডিয়া বা থিম টা পাবেন। থিম এর উপর কাজ করুন। মনে রাখবেন, রেডিও এর সাথে যোগাযোগ করে যদি ক্রেডিট দিতে অক্ষম হোন তাহলে অন্তত ক্রেডিটে লিখুন যে অমুক রেডিও থেকে সংগ্রহিত গল্প।
এখন কি করবেন? কি আর, স্ক্রিপ্ট লখবেন। হয়, আপনি কোন স্ক্রিপ্টরাইটার কে বলতে পারেন সেই গল্পের উপর ভিত্তি করে স্ক্রিপ্ট লিখে দিতে, অথবা আপনি নিজেই লিখতে পারেন আপনার স্ক্রিপ্ট আথবা আমাদেরকেও সাথে নিতে পারেন আপনার স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে।
0 comments:
Post a Comment